শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতবর্ষের বিহার রাজ্যের পাহাড়-জঙ্গলের প্রেক্ষাপটে ওখানকার মানুষদের নিয়ে একটি অসামান্য কালজয়ী উপন্যাস লিখেছিলেন, আরন্যক। অনেকদিন আগে পড়া এই উপন্যাসের কিছু অবিস্মরণীয় চরিত্রের মধ্যে একটা চরিত্র ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল আমাকে। অনেক চরিত্রের মধ্যে সেই চরিত্র, যা সামাজিক মানদণ্ডের বিচারে হয়তো অনেক নিচে অবস্থান করে, কিন্তু সেই যুগলপ্রসাদ আজও জ্বলজ্বল করছে আমার মনে। আর যতদিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকব, ততদিন ঠিক এই ভাবেই আমার মনে বেঁচে থাকবে যুগলপ্রসাদ। এই যুগলপ্রসাদ অত্যন্ত সাধারণ একজন মানুষ, যাকে লেখক প্রায়ই দেখতে পেতেন রাস্তার ধারে ধারে গাছ পুঁতছে মনের আনন্দে, বীজ পুঁতছে, সার দিচ্ছে, জল ঢেলে পরিচর্যা করছে- ছোট্ট একটা শিশুকে মানুষ যেভাবে ভালোবেসে পরিচর্যা করে! লেখক কৌতুহলী-হয়েছিলেন, আকৃষ্ট হয়েছিলেন মানুষটির প্রতি এবং কথায় কথায় জানতে পেরেছিলেন, সংসারে একান্ত নিজের বলতে যা বোঝায় যুগলপ্রসাদের তেমন কেউ নেই। তাই লেখক একদিন যুগলপ্রসাদকে প্রশ্ন করেছিলেন, সে এইভাবে গাছ লাগিয়ে বেড়ায় কেন? বড় সুন্দর উত্তর দিয়েছিল সে। বলেছিল- এই যে গাছ সে লাগাচ্ছে, আজ থেকে তিরিশ-চল্লিশ বা পঞ্চাশ বছর পরে যখন এই গাছগুলো বিশাল বিশাল হয়ে যাবে, তখন আমি থাকবো না, এরপরে যারা আসবে তারা ওই গাছের ছায়ায় বসবে, ঠাণ্ডা হাওয়ায় তাদের শরীর- মন জুড়িয়ে যাবে! এই কথা ভাবতেই যুগলপ্রসাদের খুব আনন্দ হতো। আমি যতবার ওই আরণ্যক উপন্যাস পড়েছি, ততবার আমার মনে হয়েছে এই যুগলপ্রসাদ মানুষটাকে কি বলা যায়? প্রকৃতিপাগল নাকি প্রকৃতিপ্রেমী না প্রকৃতির পূজারী! আজ দরকার, এই রকম হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি যুগলপ্রসাদ- যাদের যত্নে, প্রেমে আর পরিচর্চায় সবুজে সবুজে ভরে যাবে চারপাশের পরিবেশ আর প্রকৃতি। বিশুদ্ধ হবে বাতাস। নির্মল পরিবেশে বুক ভরে শ্বাস নেবে আজ যারা পৃথিবীতে আছি, শুধু তারা নয় আগামী দিনে যারা আসবে এই পৃথিবীতে তারাও অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানাবে আজকের যুগেরপ্রসাদের, তাদেরকে একটা সুস্থ, সুন্দর, নির্মল পরিবেশে, দূষণমুক্ত পৃথিবীতে জন্মগ্রহণের আর বেঁচে থাকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আর একমাত্র তখনই সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ঐ কথাগুলো- এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি। এই কথাগুলো সর্বার্থে সার্থক হয়ে উঠবে।
প্রতারণা। চার অক্ষরের ছোট্ট ছিমছাম একটা শব্দ। কিন্তু এই শব্দ গ্রিক পুরাণের উল্লিখিত সেই জলের দানব আকৃতির সাপের মত, যার অনেকগুলো মাথা আর সেই মাথার একটা কাটলে তৎক্ষণাৎ আর একটা মাথা গজিয়ে ওঠে। সেই ভয়ঙ্কর সাপের নাম হাইড্রা। আর তার অনেকগুলো মাথার মধ্যে একটা মাথা অমর। সুতরাং তাকে ধ্বংস করা এক রকম অসম্ভব বললেই হয়। আবার আমাদের ভারতীয় পুরাণে এক ধরনের দৈত্য-দানবের কথা বলা হয়েছে, যেখানে সেই দৈত্যের শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্ত যদি মাটিতে পড়ে, তাহলে সেই রক্ত থেকেই আবার গজিয়ে ওঠে শয়ে শয়ে দৈত্য। তাই তাদের বলা হয় রক্তবীজের বংশ আর সেই রক্তবীজের বংশকে একেবারে নির্মূল করাও অসম্ভবই বলা যেতে পারে। এই প্রতারণা শব্দটা বা প্রতারণা বিষয়টি ঠিক কেমন, সেটা বোঝাতে এতগুলো কথা লিখতে হলো। আসলে প্রতারণা হল এককথায় লোক ঠকানো। যে বিষয়েই হোক আর যেভাবেই হোক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানের যত অগ্রগতি হয়েছে, মানব সভ্যতা যতই উত্তরণের দিকে হেঁটে চলেছে, ঠিক তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে চলেছে এই লোক ঠকানোর পালা। একেবারে উচ্চস্তরের আর্ট-এ পরিণত হয়েছে প্রতারণার ধরন। নীতিহীনতার একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে মানুষের মন। কোন সময় অজ্ঞতা,কোন সময় লোভ, কোন সময় অসহায়তাকে হাতিয়ার করে চলেছে এই লোক ঠকানোর মহোৎসব। একবারও কেউ ভেবে দেখেনা,যে মানুষগুলো প্রতারণার শিকার হয়ে, সর্বস্ব খুইয়ে বেঁচে থাকে সেই বাঁচাটা কি রকম বাঁচা! অনেকেরই সেই সাংঘাতিক পরিস্থিতিকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকেনা, তাই তাদের করুণতম পরিণতি হয় আত্মহত্যা। আর এই আত্মহত্যার ফলে সেই মানুষটির পরিবারের, আত্মীয় পরিজনের অবস্থাটা কি দাঁড়ায় আর্থিক, সামাজিক, মান- সম্মানের দিক দিয়ে এবং কতখানি মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, প্রতারক বা প্রতারকরা একবারও সে কথা ভাবে কি? আর প্রথমেই যে হাইড্রা বা রক্তবীজের কথা বললাম, অনেক বেশি ভয়ঙ্কর ও শক্তিশালী এই প্রতারণা নামক দৈত্য। সর্বগ্রাসী, সর্বব্যাপী আর বিশ্বব্যাপী চরম কুপ্রভাব এই দৈত্যের। এমনভাবে এই দৈত্য মানুষের মনে গেঁথে বসেছে যে আমরা যদি এই চেতনায় উদ্ভুদ্ধ না হই আমরা পরস্পরকে ভালোবাসবো আর পরস্পরের ক্ষতি নয় উপকারের মানসিকতা রাখবো। একটা মানুষের সঞ্চয়, তিল তিল করে সারা জীবন ধরে গড়ে তোলা সম্পদ নানান চাতুরী করে ঠকিয়ে নেওয়ার মানসিকতা একেবারেই দূরে চলে যাবে একমাত্র তখনই, যখন মানুষ অন্য মানুষকে ভালবাসবে, আপন মনে করবে এবং একজন পৃথিবীবাসী হিসেবে অন্য একজনের সুখ-দুঃখ, কষ্ট- আনন্দ সমস্তটুকুই নিজের বলে মনে করতে পারবে। তখনই মানুষ বুঝবে যে এই পৃথিবীতে ভালো থাকার অধিকার আছে সকলেরই। একজনকে কষ্ট দিলে, প্রতারণা করলে যদি তার ক্ষতি হয়, তাহলে যে প্রতারণা করবে, সে কখনোই ভালো থাকতে পারে না, কারোর কষ্ট হলে, যে তাকে কষ্ট দেয়, যে প্রতারণা করে, পৃথিবী- মা তাকেও যে আনন্দে থাকতে দেবে না, এই কথাটা খুব ভালো করে বুঝে নেওয়া দরকার। যত অত্যাচারী সম্রাট বা রাজা, নবাব যাই হোক না কেন, যত শঠ, প্রবঞ্চক ও প্রতারকের কথা আমরা শুনি বা চারপাশে দেখি তারা কিন্তু কখনই শান্তিতে থাকতে পারেনি। অত্যাচারী শাসকের জীবনও কিন্তু শেষ হয় অত্যন্ত করুণভাবে আর শঠ, প্রবঞ্চক ও প্রতারকদের অবস্থাও তাই। এটা চারপাশের জীবনে আমরা প্রতিনিয়তই দেখছি। তাই এর থেকে বাঁচার ওই একটাই উপায় মানুষকে ভালোবাসা, তার কষ্ট, তার সুখ-দুঃখ, তার সমস্যাকে নিজের ভাবা, তার আনন্দে আনন্দ পাওয়া আর তার শান্তিতে শান্তি অনুভব করা। এগুলো যখন আমরা আলো বাতাসের মতো গ্রহণ করতে পারব, শ্বাস-প্রশ্বাসের মতই আমাদের অস্তিত্বে মিশে যাবে, তখনই অনুভব করব, স্থায়ী বিশ্বশান্তি প্রকৃত মর্ম আর এই অত্যন্ত নোংরা প্রবৃত্তি একেবারে চলে যাবে।
আজকের এই আর্থ- সামাজিক পরিস্থিতিতে এই ভয়ঙ্কর ইঁদুর দৌড়ের দিনে যখন সবাই এক চিত্তে ছুটে যাচ্ছি, সেই সময়, একটা কথা খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে, ‘মানসিক নির্যাতন’। এই মানসিক নির্যাতন ব্যাপারটা বড় অদ্ভুত! এটা এমন একটা ব্যাপার, যা চোখে দেখা যায় না, যে নির্যাতন শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন রেখে যায় না, ময়নাতদন্তে যে আঘাতের প্রমাণ পেয়ে অপরাধী কে শনাক্ত করার কোন উপায় থাকেনা! কিন্তু এই নির্যাতন মানুষকে তিলে তিলে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে নির্যাতিত ব্যক্তি, এমনকি আত্মহননের মতো চরম সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে। পরিবার থেকে শুরু করে কর্মস্থলে অথবা পাড়ায় বা অঞ্চলের যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময়ে নির্যাতনের শিকার হতে পারে যে কোন মানুষ। স্কুল, কলেজ অথবা ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা মুখোমুখি হয় এই মানসিক নির্যাতনের। আর সেইসঙ্গে আজকের দিনে অতি সক্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া তো রয়েছেই। যেখানে প্রতি মুহূর্তে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রেখে পরস্পরকে কাটাছেঁড়া করে চলেছি আমরা। আশ্চর্যের কথা এই যে অনেক সময়ই এই মানসিক নির্যাতনকে এমন সুক্ষ শিল্পের স্তরে নিয়ে যাওয়া হয়, যে নির্যাতিত ব্যক্তি বা তার আশেপাশের শুভানুধ্যায়ীরা অনেকটা দেরি হয়ে যাওয়ার আগে বুঝতেই পারে না যে ওই ব্যক্তি নির্যাতিত হয়ে চলেছেন। হিটলারের খুব প্রিয় একজন সেনা অফিসার ছিলেন গোয়েবলস। সেই অতি বিখ্যাত অথবা কুখ্যাত গোয়েবলস এর একটা কথা আছে- একটা মিথ্যেকে একশো বার বললেই সেটা সত্যি হয়ে যায়। গোয়েবলস পৃথিবীর যতই চরম ঘৃণ্য মানুষ হোক না কেন, তার এই কথার মধ্যে একটা চরম সত্য লুকিয়ে আছে। একটা মানুষকে উঠতে, বসতে প্রতিনিয়ত যদি বলা যায়, তুমি চোর, তুমি চোর অথবা তুমি খুনি, তুমি খুনি- তাহলে একটা সময় তার মধ্যে একটা সংশয় তৈরি হবে। সে ভাবতে শুরু করবে, সত্যি আমি এই অপরাধ করেছি? মনে হয় করেছি; যদি না করে থাকি, তাহলে সবাই মিলে এই একই কথা বলবে কেন?
এই প্রসঙ্গে আরো একটি কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ছোটবেলায় নীতি কথার গল্প পড়েছিলাম।একব্রাহ্মণ এক ছাগলছানাকে কাঁধে নিয়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। চারটে লোক, যাদের কাজই লোক ঠকানো, প্রতারণা করা- তারা ব্রাহ্মণকে দেখতে পেয়ে ফন্দি আঁটল, ওই ব্রাহ্মণকে ঠকিয়ে তার ছাগলটাকে হস্তগত করতে হবে। যেমন ভাবা, তেমন কাজ! তারা একটু দূরে দূরে চারটি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ব্রাহ্মণের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। প্রথম লোকটির কাছে ব্রাহ্মণ পৌছতেই, লোকটি তাকে প্রণাম করে বলল- এ কি করছেন ঠাকুরমশাই,ছিঃ ছিঃ আপনি একটা কুকুরকে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছেন কেন? লোকে দেখলে আপনাকে পাগল বলবে তো! ব্রাহ্মণ হেসে উত্তর দেন- আমাকে পাগল বলবে, না তোমাকে? দেখছো একটা ছাগল নিয়ে যাচ্ছি আর তুমি বলছ কিনা কুকুর! ব্রাহ্মণ হেসে এগিয়ে যায়। খানিকটা দূরে গিয়ে দ্বিতীয় লোকটির সাথে দেখা হয়, সেও একই কথা বলে। ব্রাহ্মণের মুখ গম্ভীর হয়ে যায় তার কথা শুনে; সে ছাগলটাকে কাঁধ থেকে নামিয়ে ভালো করে দেখে নিয়ে আবার হাঁটে। এরপর তৃতীয় ব্যক্তি এবং একই কথা- এইবারে ব্রাহ্মণের মনে সংশয় তৈরি হয়ে যায় এবং সে ভাবতে থাকে, এতগুলো লোক কি সবাই ভুল বলছে? আমি কি তাহলে একটা কুকুরকেই কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছি? অবশেষে চতুর্থ ও শেষ ব্যক্তি, একই কথার পুনরাবৃত্তি এবং ওই ব্রাহ্মণ তখন মেনে নিল যে সে একটা কুকুরকে এতক্ষণ ধরে কাঁধে করে হেঁটে চলেছে। এইবারে রাগে, দুঃখে, বিরক্তিতে সে কাঁধ থেকে ছাগলটাকে নামিয়ে ছেড়ে দেয় এবং বলাই বাহুল্য প্রতারকদের উদ্দেশ্য সফল হয়। মানসিক নির্যাতন ব্যাপারটা ঠিক এইরকমই। এমনভাবে মানসিক চাপ দেওয়া হয়, যে একটা সময় লোকটি বিশ্বাস করে ফেলে, তাকে যা বলা হচ্ছে সে আসলে তাই-ই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অতি উগ্র উচ্চাকাঙ্ক্ষা। যাবতীয় ভোগ্যপণ্য ও বিলাস দ্রব্য আমাকে অর্জন করতেই হবে, যেমন করেই হোক না কেন। হয়তো দু একজন সফল হচ্ছে আর বেশির ভাগই অসফলতার অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে, তার কাছের মানুষদের প্রত্যাশার চাপ পূরণ করতে না পেরে মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের এই মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে, তাদের সব থেকে কাছের মানুষ, তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে। প্রত্যেক বাবা- মা চাইছে তাদের ছেলেমেয়েই সব বিষয়ে সেরা হোক। কিন্তু তা তো হয় না! আর তাদের যে এই বিষয়ে খুব দোষ আছে, তাও নয়। চারিদিকের অর্থ সামাজিক পরিস্থিতি, প্রতিযোগিতায় সফল না হতে পারলে তাদের সন্তান অন্ধকারে তলিয়ে যাবে, এই আশঙ্কা আর সন্তানদের ভবিষ্যত নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের প্রত্যাশাটা সন্তানের কাছে অনেকসময়ই নিষ্ঠুর ও অমানবিক হয়ে যায়। আজকের সমাজে এই ব্যাধির শিকড় ছড়িয়ে গেছে অনেক গভীরে। এই ব্যাধি নির্মূল করা অত্যন্ত কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। আমাদের ভাবতে হবে মেধা-প্রতিভা সকলের সমান নয়। সামাজিক ও আর্থিক মাপকাঠিতে সবাই যে সমান সফল হবে, তাও নয়। কিন্তু প্রত্যেকেরই এই পৃথিবীতে শান্তিতে, স্বস্তিতে এবং নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার আছে। শুধুমাত্র মজা পাওয়ার জন্য বা সেই ব্যক্তি আমার মনমত নয় বলে বা অস্বাভাবিক চাহিদার কারণে আমরা কাউকেই মানসিক নির্যাতন করতে পারিনা। আমি যেমন কোনভাবেই কোন মানসিক অত্যাচারের শিকার হতে চাইব না, ঠিক তেমনি ভাবেই আমার দ্বারা কেউ যেন মানসিকভাবে অত্যাচারিত না হয়, সেটা দেখা আমার কর্তব্য আর শুধু তাই নয়, আমার সামনে কেউ যেন কাউকে মানসিকভাবে নির্যাতন না করে, সচেতন মানুষ হিসেবে সেটা দেখাও আমার কর্তব্য। শুধুমাত্র শাস্তির ভয় দেখিয়ে কারোর মনোভাব পাল্টে দেওয়া যাবে না। যখন মানুষ নিজে থেকে উপলব্ধি করবে, তখনই এই ব্যাধি নির্মূল হবে।