।। সপ্তম।।

   

অন্যমনস্ক হয়ে জানালার দিকে তাকিয়ে বসে আছেন মহীধরবাবু। মনটা ভালো নেই তাঁর। অনেক অনেক প্রশ্ন অহরহ মনের মধ্যে তোলপাড় করছে। এক অত্যন্ত কঠিন কাজে হাত দিয়েছেন তিনি। সেটা হল স্ট্যাচু অফ মাদার আর্থ বা ধরিত্রী মায়ের মূর্তি তৈরী। ধরিত্রী কথাটা মনে আসতেই নিজের মনেই একটু হেসে ফেলেন মহীধরবাবু। এই পৃথিবীও সর্বংসহা ধরিত্রী আবার তাঁর স্ত্রীর নামও ধরিত্রী। এই পৃথিবী পরম সহিষ্ণুতায় সয়ে যাচ্ছে মানুষের নির্মম লোভ আর নীরবে সাক্ষী হয়ে থাকছে মানব জাতির আত্মধ্বংসের লীলার। আর তাঁর স্ত্রী প্রতিদিন প্রতিটি কাজের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করে চলেছেন, মানুষ হিসেবে মহীধরবাবু কতখানি অপদার্থ, অযোগ্য। তাঁর সঙ্গে ধরিত্রীর বিয়ে হওয়াতে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে তাঁর স্ত্রীর জীবন। এইসব ভাবতে ভাবতেই একটা গানের সুর ভেসে এল তাঁর কানে। এই প্রসঙ্গে আরও একটা কথা মনে পড়ে গেল মহীধরবাবুর। কয়েকদিন আগে হেডস্যারের রুমে বসে নানা কথা আলোচনার সময় সম্বিত বাবু তার মোবাইল ফোনে একটা ছবি দেখালেন। কয়েকদিন আগে ব্রাজিলের অ্যামাজনের জঙ্গলের যে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছিল, সেই ভয়ঙ্কর আগুন থেকে বাঁচতে একটা বাঘ নদীতে নেমে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে একজন ব্রাজিলিয়ান সৈন্যকে আঁকড়ে ধরেছে। না, কোন রকম হিংস্রতা নিয়ে নয়, প্রাণ বাঁচানোর পরম আকুতিতে। ছবিটা দেখিয়ে সম্বিত বাবু বলেন, ‘আচ্ছা, মহীধরবাবু, এই ছবিটা দেখে আপনার কি মনে হচ্ছে?’ মহীধরবাবু হেসে বলেছিলেন, ‘আমার একটা কথাই মনে হচ্ছে এই ছবিটা দেখে, যে জঙ্গলের হিংস্র নরখাদক প্রানী, মানুষ দেখলেই যার ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা, বিপন্ন অবস্থায় প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে সেও কিন্তু হিংস্রতা ভুলে আঁকড়ে ধরেছে মানুষকে এই বোধটুকু নিয়ে যে হয়ত এর কাছে আশ্রয় নিলে সে প্রাণে বাঁচবে! অবুঝ জঙ্গলের জানোয়ার যদি এই কথা বুঝে থাকে তবে এই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমান জীব মানুষ কেন এত হিংস্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তার একমাত্র আশ্রয়স্থল পৃথিবীকে ধ্বংস করার
জন্যে ! এইসব ভাবতে ভাবতেই তাকিয়ে দেখলেন তাঁদের বাড়ির একটু দূর দিয়ে একজন বাউল যাচ্ছে গান গেয়ে। আর একটু কাছে আসতে গানের কথাগুলো স্পষ্ট শুনতে পেলেন মহীধরবাবু। বাউল গাইছে -
আমার জনম গেলো
স্বর্গ খুঁজে,
স্বর্গ খুঁজে পেলাম না
এ দুনিয়াই আশা আলো
দুয়ের ঠিকানা –
    লাফিয়ে উঠলেন মহীধরবাবু। আরে তিনি তো এই কথাগুলোই ভেবে যাচ্ছেন কয়েকদিন ধরে। স্বর্গ কি, সত্যি সত্যিই স্বর্গ বলে কিছু আছে কিনা বা সেখানে আদৌ পৌঁছানো যায়, না কি স্বর্গ-নরকের সব প্রশ্নের মীমাংসা এই পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে করা সম্ভব! তাড়াতাড়ি ডাকলেন বাউলকে। বাউল এসে দাঁড়ালো উঠোনে। মহীধরবাবু তাঁকে ডেকে নিলেন তাঁর ঘরে। তাঁর সাধনকক্ষে যেখানে তিনি ছাড়া আর কারোর প্রবেশাধিকার নেই। মাঝে মাঝে ধরিত্রী ঢুকে পড়েন এই ঘরে তাঁর সাধনায় বিঘ্ন ঘটানোর জন্যে। সেটা জোর করেই। মহীধরবাবুর ডাকে নয়। সেই আমন্ত্রণ পাওয়ার মূহুর্ত আজও আসেনি ধরিত্রীর জীবনে। মহীধরবাবুর ডাকে একেবারে ঘরের মধ্যে ঢুকে এসে খুব অবাক হয়ে যায় বাউল। মুখে তার কুণ্ঠিত সলজ্জ হাসি। কপালে হাত ঠেকিয়ে প্রণাম করে মহীধর বাবুকে। মহীধর বাবুও প্রতি নমস্কার জানান, তারপর ব্যস্ত গলায় বলেন, ‘আরে ভাই, তুমি যে গানটা গাইছিলে আর একবার গাও তো।’ বাউল লাজুক হেসে বলে, ‘আপনার ভালো লেগেছে? আবার শুনবেন?’
    ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ শুনব,’ ব্যস্ত সমস্ত মহীধরবাবু বলেন। গান শুরু করে বাউল। নিবিষ্ট মনে চোখ বুজে গান শুনতে থাকেন। শুনতে শুনতে চোখে জল এসে যায় মহীধর বাবুর। চশমাটা পাঞ্জাবীর খুঁটে মুছে ধরা গলায় জিজ্ঞাসা করেন,‘তোমার নাম কি ভাই?’ বাউল বলে, ‘স্বপন দাস, তবে ও নামে আর কেউ ডাকে না। কেউ বলে স্বপন বাউল, আবার কেউ বলে স্বপন খ্যাপা।’ মহীধরবাবু স্বপনের দিকে তাকিয়ে থাকলেও বোঝা যায় তাঁর অন্যমনস্ক দৃষ্টি অনেক দূরে কোথাও হারিয়ে গেছে। অনেক দূর থেকে ভেসে আসা গলাতেই বলেন, ‘স্বপন মানে স্বপ্ন - আর যে স্বপ্নকে তাড়া করে বেড়ায়, সেই লোক খ্যাপা তো বটেই। তুমি স্বপন খ্যাপা আর আমি মহী খ্যাপা --- হা - হা - হা!’ জিভ কেটে হাত জোড় করে স্বপন বলে, ‘কি যে বলেন স্যার; আমি লেখাপড়া শিখিনি, এই গান গেয়েই পেট চালাই, তাই আমায় খ্যাপা বলে - আর আপনি হলেন স্যার; কতজনকে আপনি মানুষ করেছেন, কত জ্ঞান আপনার।’ ‘ আমাকে তুমি চেন?’ অবাক গলায় বলেন মহীধরবাবু।
    ‘হ্যাঁ স্যার চিনি।’ হেসে বলেন স্বপন বাউল।
    ‘আচ্ছা স্বপন, এই যে তুমি গান গেয়ে বেড়াও, কোনদিন খাবার জোটে, কোন দিন খাবার জোটে না, তোমার রাগ হয় না, দুঃখ হয় না, মনে হয় না কেন এলাম এই পৃথিবীতে ?’
    ‘না স্যার, একেবারেই না। তিনি যিনি আমাকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন, আমাকে বুদ্ধি দিয়ে পাঠিয়েছেন বলে ভালো মন্দ বিচার করতে পারি, সুস্থ শরীর দিয়েছেন, তাই কত দূরে দূরে চলে যাই, কত মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়, গলায় সুর দিয়েছেন, তাই গান গেয়ে তাকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাতে পারি। আর এই দুটো চোখ দিয়ে প্রাণ ভরে দেখি এই পৃথিবীর রূপ। কত নদী, কত পাহাড়, জঙ্গল, কত গাছ, কত ফুল, নানা রঙের কত পাখি আর প্রজাপতি। গরমের ভয়ঙ্কর কষ্টের পর আকাশের ঘন কালো মেঘ থেকে ঝরে পড়ে বৃষ্টি ঠিক উপরওয়ালার আশীর্বাদের মত, আবার যেই শীতকাল আসে প্রকৃতি হেসে ওঠে, নানা রঙে রঙিন হয়ে ওঠে চারিদিক, তখন যেন মনে হয় তিনি হাসছেন আড়ালে বসে। তাঁর দয়ার কথা ভাবতে গিয়ে চোখে জল এসে যায়, আর তাই গলা ছেড়ে গেয়ে উঠি -
এই রঙে রসের কারখানাতে
রসিক বল কয়জনা,
এই দুনিয়াই আশা আলো
দু’য়ের ঠিকানা –
এই দুনিয়াই আশা আলো
দু’য়ের ঠিকানা...
    স্বপন বাউলের কথা আর গান শুনে উঠে দাঁড়ান মহীধরবাবু। প্রবল উচ্ছাসে তাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘এই তো, এই তো পেয়েছি আমি, এই রকম মানুষই তো আমার দরকার! যে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতায় নতজানু। আর তাঁর তৈরী এই সৃষ্টিকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসে। পারবে, তুমি পারবে।’
    মহীধরবাবুর কথা শুনে প্রবল উৎসাহিত হয়ে উঠে স্বপন বলে, ‘আপনি বলেন স্যার, আমায় কি করতে হবে। কিন্তু আমার যে গান বাঁধা ছাড়া আর কোন ক্ষমতা নেই।’ ‘ওই গান গেয়েই তুমি সবাইকে বোঝাবে যে শুধু ধ্বংস নয়, শুধু লোভের দাঁত, নখ দিয়ে এই পৃথিবীর সম্পদ লুঠ নয়, ভালোবাসতে হবে এই পৃথিবীকে, সংরক্ষিত করতে হবে এই পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদকে। যুগ যুগ ধরে আমরা স্বর্গের গল্প শুনে এসেছি। সেখানে নাকি শুধু অফুরন্ত সুখ, আনন্দ আর ঐশ্বর্য। কিন্তু সে তো শুধু বইতে পড়া আর লোকের মুখে মুখে প্রচলিত। কিন্তু আজ পর্যন্ত স্বর্গ থেকে ঘুরে এসে তো কেউ সেই বিবরণ শোনাতে বা লিখতে পারেনি ? কিন্তু যে অপার সৌন্দর্য আর সম্পদ দিয়ে সৃষ্টিকর্তা ঢেলে সাজিয়েছেন এই পৃথিবীকে, একটু যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে যদি এই পৃথিবীকে সুন্দর রাখতে পারি, তাহলে এখানেই তৈরী হতে পারে স্বর্গ, স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরে উঠতে পারে এই পৃথিবী। তাঁর তৈরী সৃষ্টি যা তিনি পরম যত্নে উপহার হিসাবে তুলে দিয়েছেন আমাদের হাতে, সেই সৃষ্টিকেই যদি আমরা ধ্বংস করে ফেলি, তাহলে কল্পনার সেই স্বর্গরাজ্যে পৌঁছানোর অধিকার তিনি কেন আমাদের দেবেন ? সবচেয়ে সহজ উপায় তো পৃথিবীকেই স্বর্গের সৌন্দর্যে সাজিয়ে তোলার মধ্য দিয়ে কল্পনার সেই স্বর্গরাজ্যে পৌঁছানোর যোগ্য দাবিদার হয়ে ওঠা। একটি মাত্র অধিকার তিনি আমাদের দিয়েছেন তা হল এই অপার সৌন্দর্যময় পৃথিবীকে তিনি সমস্ত সম্পদে ভরিয়ে দিয়েছেন আমাদের সমস্ত প্রয়োজন মেটানোর জন্য, কিন্তু তা যেন মানুষের দ্বারা লুণ্ঠিত ও ধ্বংস না হয়, সুশৃঙ্খল ভাবে সেই সম্পদ ব্যবহার ও পরম যত্নে তা সংরক্ষণ করা, মানুষের অধিকার মাত্র এইটুকু। দু’হাত ভরে এই পৃথিবীকে দান করেছেন আর বিনিময়ে চেয়েছেন এইটুকু। সেইটুকুই আমরা করতে আগ্রহী নই, ইচ্ছুক নই, অথচ স্বর্গ নামক এক কল্পনার রাজ্যে যাওয়ার জন্য অজস্র ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপ করে যাচ্ছি। যে নিষ্ঠা, যে শ্রম, যে অর্থ, যে অধ্যবসায় আমরা এই সমস্ত কাজে ব্যয় করি তার চার ভাগের এক ভাগও যদি এই পৃথিবীকে সুন্দর রাখার জন্য ব্যয় করতাম, তাহলে আক্ষরিক অর্থেই এই পৃথিবী স্বর্গ হয়ে উঠত।’
    ‘হ্যাঁ স্যার, একেবারে হক কথা বলেছেন আপনি। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনি তো বলেন নাই যে পৃথিবীতে যা যা আছে, জঙ্গল, পাহাড়, নদী, সমুদ্র-নিজেদের লাভের জন্য ও লোভের জন্য সব ধ্বংস করতে হবে। এই অধিকার তো তিনি দেন নাই! শুধু অধিকার দিয়েছেন দু’চোখ ভরে এই সুন্দর পৃথিবীকে উপভোগ করার, তাকে যত্ন করার, তাকে সুন্দর রাখার। তাই না স্যার ?’
    ‘ঠিক তাই স্বপন, ঠিক তাই। এই পৃথিবী তো সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টিকর্তা, পরম যত্নে আর ভালোবাসায়। এই সৌরজগতে তো আরও কত গ্রহ আছে, কই সেখানে তো জল নেই, অসহ্য উত্তাপ, জীবনের কোন বিকাশ ঘটার মত কোনো অনুকূল পরিবেশ, পরিস্থিতিই সেখানে তৈরী হয় নি। অথচ এই পৃথিবীতে অজস্র প্রানী। আর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রানী আমরা অর্থাৎ মানুষ। এই থেকেই তো বোঝা যায় এই পৃথিবী তাঁর কত প্রিয়। এই পৃথিবী তো আমরা তৈরী করিনি, করার কোন ক্ষমতাই নেই আমাদের। আমরা এই পৃথিবীকে পেয়েছি সৃষ্টি কর্তার অনন্য উপহার হিসাবে। কিন্তু উপহার পেলে, তাকে রক্ষা করার দায়িত্ব ও কর্তব্যও কিন্তু থাকে। তাই এই পৃথিবীকে সুন্দর রাখার, দূষণমুক্ত রাখার দায়িত্বও আমাদেরই। এই পৃথিবীর সমস্ত সম্পদকে সংগঠিত ও সংরক্ষিত করে রাখার পবিত্র কর্তব্য ও দায়িত্বও আমাদেরই। আর এই কাজটাই সবার আগে করতে হবে। কি, তাই তো স্বপন ?’
    ‘হ্যাঁ, স্যার ঠিক তাই,’ উৎসাহে বলে ওঠে স্বপন বাউল। ‘এটুকু যদি না করতে পারি, তাহলে আমাদের পরে যারা এসেছে, বা তারও পরে যারা আসতে পারত, তারা তো আর আসতেই পারবে না, কারণ আমাদের গাফিলতি,দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্যে। তখন এই পৃথিবী আর বসবাসের যোগ্য থাকবে না। আর তার জন্যে তো দায়ী থাকব আমরাই, আজকের মানুষরা, যারা নাকি নিজেদের বলি আমরাই সব থেকে সেরা জীব। তাই তো আর একটুও দেরি করা যাবে না স্যার। আমি গান বাঁধব, আর আপনার আদেশে সেই গান আমি সব জায়গায় গাইব। আপনার কাছে থেকে শেখা কথা সবাইকে বলে বেড়াব। এটাই হবে আজ থেকে আমার আসল কাজ। তাই না স্যার ? আমি পারব না ?’
    উৎফুল্ল মুখে স্বপনের হাত চেপে ধরেন মহীধরবাবু। বলেন, ‘পারবে, নিশ্চয় পারবে। কিন্তু এই গান গেয়েই তো তোমার চলে সেটার কি হবে ?’
    ‘ও আপনি কিছু ভাববেন না স্যার। এখন তো অনেকরকম কাজের সুযোগ আছে। তাই কিছু না কিছু কাজ আমি ঠিক খুঁজে নেব আর বাকি সময়টা আমি এই কাজটাই করে যাবো স্যার। আচ্ছা আজ আমি আসি স্যার ?’
    মহীধরবাবুকে নমস্কার করে উঠে দাঁড়ায় স্বপন। হঠাৎ কিছু একটা মনে পড়ে যায় মহীধরবাবুর। পাঞ্জাবীর পকেট থেকে একটা দু’হাজার টাকার নোট বের করে স্বপনের হাতে গুঁজে দেন। মহীধরবাবুর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে স্বপন। চোখে জল এসে যায় তার। দ্রুত চোখের জল মুছে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। খানিকক্ষণ সেই দিকে তাকিয়ে থেকে চেয়ারে এসে বসেন মহীধরবাবু। মুখে একটা অদ্ভুত তৃপ্তির হাসি। অস্ফুটে বলেন, “এই তো আর একজন মানুষকে পেলাম, যে আমার কথা বুঝল, যে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে এই পৃথিবীকে, ঠিক এইরকম মানুষ দরকার ছিল। যে তার গানের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীকে ভালোবাসার বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। বলবে-

আমরা যা চাই তা এই,
পৃথিবীর কাছেই পাই
তাই সবার উপরে
এই পৃথিবী সত্য –
তার আগে কিছু নাই।